দেবাশীষ পাল ( মালদা ) : -বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে ঘর সব হারিয়ে সর্বস্বান্ত মানুষের আর্তনাদের খবর তুলে ধরেছিল আমাদের চ্যানেল।মালদার বীরনগর গ্রামের মানুষদের অসহায় অবস্থার খবর শুধু কালিয়াচক বা মালদহ জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই।সংবাদমাধ্যম জেরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়।তাদের অসহায় ও দুঃখের খবর পাওয়া মাত্রই দেখা করেতে যায় প্রশাসনের লোকেরা কিন্তু তারপরেও অনেকের এখন থাকার জায়গা খোলা আকাশের নিচে আবার কেউ থাকছে সরকারি স্কুলের মধ্যে। কিন্তু তারা খাবে এখন সমস্যা খাবারের এই ভাবে দিন কাটছে তাদের, ছোট ছোট বাচ্চা গুলো নিয়ে। বর্তমানে ঘর বাড়ি হারা মানুষগুলো আস্থা নিয়েছেন বিনগরের মুন্নাটোলা প্রাইমারি স্কুল ও চামাগ্রাম স্কুল সহ বিভিন্ন এলাকায়। আর তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখেই এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।বেশ কিছু দিন থেকেই ভাঙ্গন কবলিত মানুষের জন্য দুপুরের খাবারের জন্য ছাত্র সমাজ, বিভিন্ন সংগঠন গুলি বিভিন্ন স্কুলে শুরু করেছে কমিউনিটি কিচেন। এই কমিউনিটি কিচেনে বীরনগর সহ চামাগ্রামের বিভিন্ন এলাকার প্রতিদিন মানুষকে খাওয়ানো ব্যবস্থা করছে প্রায় হাজার এরও অধিক মানুষকে, কোথাও খিচুড়ি পাঁপড় আবার কোথাও ডিম ভাত, সবজী ব্যবস্থা করছে। ভাঙ্গন কবলিত মানুষেরা বর্তমানে স্কুলে স্কুলে থাকছেন যতদিন না পর্যন্ত গঙ্গা ভাঙ্গন বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে।তারা সরকারিভাবে সাহায্যর আশায় দিন গুনছে। এক স্বেচ্ছাসেবক জানাই এই অসহায় মানুষগুলোর উৎপন্ন করে রাখা যা ছিল তা সবই ভাঙ্গনে বয়ে গেছে। তারা কোনো রকমে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বেঁচেছে মাত্র। সত্যি তারা বড় অসহায় আর তাদের কথা ভেবে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের এই উদ্যোগ। আগামীতে আমরা এভাবেই মানুষগুলোর পাশে থাকবো চেষ্টা করছি । আমাদের এই কমিউনিটি কিচেন চলবে বেশ কিছুদিন ধরেই।আগামী কাল আমরা ডিম্ ভাত খাওয়াবো।এই পিছনে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদেরকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।